সোমবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৮

গয়নার গ্রাম ভাকুর্তা



প্রতিটি ঘরের উঠোন, দরজা ও ঘরের ভেতরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অলঙ্কার তৈরির সরঞ্জাম। বেশির ভাগ বাড়ির বারান্দায় উজ্জ্বল আলোয় উঁকি দিচ্ছে আগুনের ফুলকি। পুরো গ্রামেই চলছে এ কর্মযজ্ঞ। ছেলে-বুড়ো, মা-মেয়ে-বউ সবাই ব্যস্ত গলার হার, হাতের চুড়ি, কানের দুল, ঝুমকা, চেন, পায়েল ও নূপুর তৈরিতে। রাস্তার পাশে, বাজারে বাজারে গড়ে উঠেছে গয়নার কারখানা ও দোকান। এ দৃশ্য সাভারের হেমায়েতপুরের ভাকুর্তা গ্রামের। রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে অবস্থিত হলেও অবহেলিত জনপদ ছিল এই ভাকুর্তা। শিক্ষার দিক দিয়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। বেকার জীবনযাপন ছিল বেশির ভাগ মানুষের। এই জনপদে আজ আর কেউ বেকার নেই। ছোট-বড় নারী-পুরুষ সবাই ব্যস্ত তামা ও পিতল দিয়ে গয়না তৈরিতে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঠুকঠাক শব্দে নানা ধরনের গয়না তৈরিই তাদের পেশা। সংসারে ফিরে এসেছে সচ্ছলতা। এ জনপদকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে গয়না শিল্প।
এ ইউনিয়নের ২৭ গ্রামের ১২টিতেই ঘরে ঘরে তৈরি হয় গয়না। গয়না তৈরির গ্রামগুলো হলোÑ ভাকুর্তা, কান্দিভাকুর্তা, হিন্দুভাকুর্তা, মোগরাকান্দা, মুশুরিখোলা, ডোমরাকান্দা, বাহেরচর, ঝাউচর, লুটের চর, চুনার চর, চাপড়া ও চাইরা। এসব গ্রামের প্রায় ১০ হাজার লোক গয়না তৈরির কাজে যুক্ত। এই গয়না তৈরি করে যেমন অন্যকে সাজতে সহায়তা করছেন, তেমনি একে অবলম্বন করে নিজেদের জীবনকেও সাজাচ্ছেন এখানকার মানুষ। বছরে গড়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকার গয়না তৈরি হয় এ গ্রামে। গ্রামগুলোতে বসবাসকারী মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস গয়না তৈরি করা। নারী-পুরুষ মিলে মেয়েদের গয়না তৈরি করেন, যেগুলো বিক্রি হয় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
স্বর্ণ ও রৌপ্যের উচ্চমূল্যের কারণে সাভারের ভাকুর্তা বাজার ও এর আশপাশের গ্রামগুলোতে গয়না তৈরি করা হয় তামা ও পিতল দিয়ে। প্রাথমিকভাবে এগুলো অপরিশোধিত অবস্থায় থাকে। এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে পরিশোধন ও রঙ করে বাজারে বিক্রি করে থাকেন, যা সিটি গোল্ড বা ইমিটেশন নামে পরিচিত। এগুলো দেখতেও যেন সোনার মতো তা সবার জানা। এখানে তামার ব্যবহার বেশি হলেও পিতল ও দস্তা দিয়েও গয়না তৈরি করেন কারিগররা। জানা যায়, ’৮০-এর দশকেও এই বাজারে সোনা ও রুপার গয়না তৈরি হতো। কিন্তু এগুলোর দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যবসায়ী ও কারিগররা সোনা ও রুপার অলঙ্কার তৈরি থেকে সরে আসেন। ’৯০-এর দশকে এসে ঝুঁকে পড়েন ইমিটেশনের গয়না তৈরির দিকে।
সরেজমিন ভাকুর্তায় দেখা যায়, গ্রামের নামেই গড়ে উঠেছে বাজার। সেখানে রয়েছে বিরাট একটি বটগাছ। সেই বটগাছ ঘেঁষে সারি সারি গয়নার দোকান। কিছু পাকা, কিছু আধা পাকা, আবার কিছু টিনের ঘর। এর মধ্যে বসে দিব্যি কাজ করছেন বিভিন্ন বয়সী কারিগর ও তাদের সহকারীরা। কারিগররা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে তৈরি করছেন গলা, নাক, কান, পা, কোমর ও মাথার বিভিন্ন ডিজাইনের গয়না। সোনার দোকানে যেসব জিনিস থাকে তার যেন সবই রয়েছে ঘরগুলোতে। সামনে, পেছনে, দেয়ালে থরে থরে সাজানো মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের গয়না। গয়না তৈরিতে যত কাঁচামাল প্রয়োজন, সবই সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। গয়না তৈরির কাঁচামাল বিক্রির দোকানের মালিক ও কারিগর অনীল রাজবংশী। তার সাথে কথা বলে জানা গেল, তিন প্রজন্ম ধরে তারা এই কাজ করছেন। গ্রামের প্রায় সবার পেশা গয়না গড়া। বাজারের সব ঘরই সাজানো-গোছানো। আমেনা জুয়েলারি ওয়ার্কশপের মালিক মো: সাদেক মিয়া জানান, গয়না তৈরির কাজটি আগে হিন্দুরা করতেন। মুসলমানেরাও এটিকে এখন পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি আরো জানান, তাদের তৈরি গয়নাগুলো পাইকারের কাছে বিক্রি করা হয় ২০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকায়। দাম ডিজাইন ও আকারের ওপর নির্ভর করে। যেমন গলার নেকলেস ১০০ থেকে এক হাজার টাকা, চুড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা জোড়া, সিতা হার ৬০০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা, নূপুর ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাথার ঝাপটা ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, হাতের মালতাশা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, খোঁপার কাঁটা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, মাথার টায়রা ৩০০-৪০০ টাকা, শাড়ির মালা ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা, নাকের ফুল ২০ থেকে ৩৫ টাকা, কপালের টিকলি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এসব গয়নার বেশির ভাগই অপরিশোধিত অবস্থায় বিক্রি হয়। পাইকারি ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে পরিশোধন করে যখন মার্কেটে খুচরা বিক্রি করেন তখন এর দাম দেড় থেকে দুই গুণ, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিন গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।
ভাকুর্তা বাজারের কারিগর বেচারাম দেওরি জানান, গয়না তৈরির কাঁচামাল তামা কিনে নিয়ে আসা হয় ঢাকার কোতোয়ালি থানার তাঁতিবাজার থেকে। দাম পড়ে কেজিপ্রতি এক হাজার টাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া কিছু গয়নার কাঁচামাল বগুড়া ও ভারত থেকে নিয়ে আসা হয়। নিজেদের দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে কাজ করেন কারিগররা। দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা কাজ করে আয় হয় ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা।
ভাকুর্তা বাজারের স্বর্ণ, রৌপ্য ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন জানান, ভাকুর্তা বাজারের বয়স প্রায় ১৫০ বছর। এ বাজারে দোকান রয়েছে ১৩০টির মতো। আর ভাকুর্তা ইউনিয়নে কমপক্ষে ২৫০-৩০০টি দোকান। আট থেকে ১০ হাজার মানুষ এই পেশায় জীবিকা নির্বাহ করেন।
প্রতিটি পরিবারের কমপক্ষে একজন সদস্য এই পেশায় জড়িত রয়েছেন। তিনি বলেন, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেসব ইমিটেশন বা সিটি গোল্ডের গয়না বিক্রি হয় তার বেশির ভাগই এখানে তৈরি হয়। এ ছাড়া স্বল্পসংখ্যক মধ্যপ্রাচ্য, ভারত, ইতালিতেও রফতানি করা হয়।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় সব বড় শপিংমল, ঢাকার নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেট, চাঁদনী চকসহ সব মার্কেটেই গয়না আসে ভাকুর্তা গ্রাম থেকে। মার্কেটগুলোতে সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এসব গয়না বিক্রি হয়। এ ছাড়া গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, মুন্সীগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, খুলনা, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল গয়নার বৃহত্তর বাজার। পাইকাররা এসে গয়না কিনে নিয়ে যান। শুধু দেশে নয়, এখানকার গয়নার চাহিদা দেশের সীমা ছাড়িয়ে বিদেশেও।
স্থানীয় লোকজন জানান, ব্রিটিশ আমলেই এখানকার মানুষ গয়না তৈরিকে বিকল্প পেশা হিসেবে বেছে নেন। শুরুতে তারা সোনার গয়না বানাতেন। ধীরে ধীরে রুপার গয়না গড়ার দিকে ঝোঁকেন তারা। বর্তমানে তামা ও পিতলের তৈরি গয়নাই বেশি গড়ছেন। ১৯৮০ সালের পর থেকে গয়না তৈরি ও বিক্রি ছড়িয়ে পড়ে। প্রথম দিকে রসময় পোদ্দার, জগন্নাথ পোদ্দার, শচীন্দ্র সরকারসহ কয়েকজন স্থানীয়ভাবে গয়না তৈরি শুরু করেন। পরে রাজেশ দাস, নিতাই দাসসহ কয়েকজন এর বাণিজ্যিক প্রসার ঘটান।
ভাকুর্তা সোনা, রুপা ও ইমিটেশন ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো: নাজিমুদ্দীন বলেন, রুপার মূল্য বৃদ্ধির ফলে এখন তারা তামা-পিতল দিয়ে কাজ করেন। সোনার আকাশছোঁয়া দামের কারণে অনেকের পক্ষে সোনার গয়না কেনা সাধ্যের বাইরে। তাই তামা-পিতলের গয়নাই এখন সম্বল। সিটি গোল্ড বা এন্টিক নামে এগুলোর পরিচয়। সোনা ও রুপার উচ্চমূল্যের বাজারে তামা, দস্তা, পিতলই ভরসা। সাধারণ একটি অপরিশোধিত তামার গয়নার দাম ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, যা জিংকে ধুয়ে পরিশোধিত হয়ে এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। ডিজাইন অনুযায়ী দাম কম-বেশি হয়।
ভাকুর্তা বাজারের গয়নার কারিগর অখিল সরকার জানান, এক সময় আমরা রুপার গয়না তৈরি করতাম। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এর বিক্রি কমে যাচ্ছে। তাই এখন তামা আর পিতল বেশি ব্যবহার করি। ঢাকার চাঁদনী চক, নিউমার্কেট, আজিজ সুপার মার্কেটসহ প্রায় সব বড় মার্কেট ও শপিংমলে ভাকুর্তার গয়না যায়।
দিনে দিনে এসব গয়নার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি ভাকুর্তায় নারী সদস্যরাও সমানতালে অলঙ্কার তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। ডোমরাকান্দা গ্রামের গৃহবধূ রোজিনা আক্তার, চুনারচরের স্কুলছাত্রী নাসিমা আক্তারসহ অনেকেই জানায়, ঘরসংসার ও পড়াশোনার পাশাপাশি তারা অলঙ্কার তৈরি করে পরিবারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছে।
রাজধানীর জুয়েলারি দোকানগুলোতে ভাকুর্তায় তৈরি অলঙ্কারের চাহিদা স্বর্ণের চেয়েও বেশি। নিউমার্কেটের মোস্তফা জুয়েলার্সের মালিক আরিফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, দফায় দফায় স্বর্ণের দাম বাড়ায় ব্যবসায় মন্দা চলছে। তার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। যার ফলে স্বর্ণে লাভ খুবই কম। এ কারণে রুপা, তামা ও পিতলের অলঙ্কার বিক্রি করছি। মানুষ এসব অলঙ্কার বেশি কিনছে।
ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ মো: আনোয়ার হোসেন জানান, দেশের এ রকম ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে সাধারণ ক্রেতার পাশাপাশি সরকার ও সংশ্লিষ্ট মহলকেও এগিয়ে আসতে হবে। এ শিল্পের সাথে জড়িতদের সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে তাদের পুঁজি বৃদ্ধি ও ব্যবসায় প্রসারে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা চান তিনি। এ ছাড়াও এ শিল্পের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাজারজাতকরণে সঠিক প্রচারণায় সরকারি সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

How to Delete Old Backup Files in Windows 7

How to Delete Old Backup Files in Windows 7

Periodically, you need to take a few minutes to delete old backups in Windows 7 to make room for new ones. Creating backups of your data is easier than ever in Windows 7, which means that more people will create backups more frequently. Although that’s great, all those easy backups can take up an enormous amount of space.

 Download software for backup data

Data backup files keep growing and growing, and if you don’t prune them back, they’ll take up all the space they can. Fortunately, deleting old backups is not as daunting as you might think. The Backup and Restore Center gives you several tools that make managing your backups surprisingly easy.
  1. Choose Start→Control Panel. Under the System and Security heading, click the Back Up Your Computer link.
    image0.jpg
    The Windows 7 Backup and Restore Center appears.
  2. Click the Change Settings link.
    image1.jpg
    The Backup and Restore Center shows you a full analysis of the space occupied by your data backups and system image (“ghost”) backups.
    Shadow copies/previous versions aren’t listed here because they’re stuffed into each drive’s system restore area.
  3. Click the View Backups button.
    The Backup and Restore Center shows you a list of all backups that have taken place recently, noting the size of the backup.
  4. If you want to delete a backup, click it once and then click Delete.
    Look for the really old, really big backups. Don’t worry — you’re only deleting the backup, not the original data.
  5. Click Close and then click X to close the Backup and Restore Center.

 

বুধবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

সালাতুল তাসবিহ নামাজ




সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ত :

 আরবি-উচ্চারন
نَوَايْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لِلَّّهِ تَعَالَى ارْبَعَ رَكَعَاتِ صَلَوةِ التَّسْبِيْحِ سُنَّةُ رَسُوْلِ اللَّهِ تَعَالَى مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِيْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ
  বাংলা-উচ্চারন

নাওয়াইতু আন উসালি্লয়া লিল্লাহি তা’আলা  আরবা’আ রাকা’আতাই সালাতিল সালাতুল-তাসবী সুন্নাতু রাসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলাজিহাতিল কাবাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

বাংলা অর্থ

আমি সালাতুল-তাসবী -চার-রাক’আত সুন্নত নামাজ আদায় করার উদ্দেশ্যে কিবলামুখী হয়ে নিয়্যত করলাম,আল্লাহু আকবার।
 
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়ম!!!
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ সালাতুত তাসবিহ হাদীস শরীফে ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামাযের অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। এই নামায পড়লে পূর্বের গুনাহ বা পাপ মোচন হয় এবং অসীম সওয়ার পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার আউয়াল আখেরের সগীরা কবীরা জানা অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।
তিনি বলেন, চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ।
সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ চার রকাত । প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।
তাসবীহঃ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।
@ ১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে
@ তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে
@ এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে “রাব্বানা লাকাল হামদ” পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।
@ তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, ( সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।)
@ অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর “আত্তহিয়্যাতু…”, দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে , ২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে (তাসবীহ টি ১৫ বার পড়ে স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা পড়তে হবে) ।
কোন এক স্থানে উক্ত তাসবীহ পড়তে সম্পূর্ণ ভুলে গেলে বা ভুলে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম পড়লে পরবর্তী যে রুকনেই স্মরণ আসুক সেখানে তথাকার সংখ্যার সাথে এই ভুলে যাওয়া সংখ্যাগুলোও আদায় করে নিবে। আর এই নামাযে কোন কারণে সাজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে সেই সাজদা এবং তার মধ্যকার বৈঠকে উক্ত তাসবীহ পাঠ করতে হবে না। তাসবীহের সংখ্যা স্মরণ রাখার জন্য আঙ্গুলের কর গণনা করা যাবে না, তবে আঙ্গুল চেপে স্মরণ রাখা যেতে পারে।


রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

আমি





ক্যমেরায় বন্দী আদরের বন্ধুত্ব।
বাস্তবতায় মুক্ত প্রয়োজনের অস্তিত্ব।
স্মৃতির ধুলোয় ঝড় বয়ে যায়,
হারিয়ে যাওয়া কথা গুলো,
সময় হলে, মুছে ফেলো।
আগের মতো নাইবা থাকলে,
প্রয়োজন হলে, আবার ডাকলে
হাজির হব আমি সেই তবক্ষন,
তোমার প্রয়োজন হবে যখন।.........

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৮

জিরা খেয়ে ঝরিয়ে ফেলুন মেদচর্বি



রান্নায় জিরার ব্যবহার নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। শুধুই যে রান্নায় সুগন্ধের জন্য জিরা ব্যবহার হয়, তা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও আমরা রান্নায় জিরা দিই। স্পাইসি এই মশালা যে আপনার শরীর থেকে বাড়তি মেদ ঝরাবে, সে খোঁজ কি রাখেন? হাতের কাছে ক্যালেন্ডার নিয়ে শুধু কয়েকদিন গোল্লা পাকান। আর দেখুন কী হয়।

ধৈর্য ধরে ১৫টি দিন দেখুন। এর মধ্যে রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন। একদিনও বাদ দেবেন না। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।

শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না। গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়।

এ ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গণ্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গেলাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠাণ্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিন বার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। 




 কী ভাবে জিরা খাবেন?

১. একটা গেলাসে বড় চামচের দু-চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে, ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন, দেখবেন ওজন কমছে।

২. যদি দেখেন, উপরের দাওয়াই আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না, তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দুইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে।

৩. কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গেলাস পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে, এক চামচ জিরাগুঁড়ো মিশিয়ে খেলেও ভালো কাজ দেবে। 

৪. পাতিলেবু ও রসুন ওজন ঝরাতে খুব ভালো দাওয়াই। গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে, রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে, ম্যাজিক পরিবর্তন দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে।
 


সে প্রথম প্রেম আমার (...............)

লাল ফিতে সাদা মোজা সু স্কুলের ইউনিফর্ম,
'টার সাইরেন সংকেত সিলেবাসে মনোযোগ কম,
পড়া ফেলে এক ছুট ছুট্টে রাস্তার মোড়ে,
দেখে সাইরেন মিস করা দোকানীরা দেয় ঘড়িতে দম,
এরপর একরাশ কালো কালো ধোঁয়া,
স্কুল বাসে করে তার দ্রুত চলে যাওয়া ।

এরপর বিষন্ন দিন বাজেনা মনোবীণ,
অবসাদে ঘিরে থাকা সে দীর্ঘ দিন,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা ।।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার (...............) ।।

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায়,
রক থাকতো ভরে কিছু বখাটে ছোড়ায়,
হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি
একঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময় ।

তখন উদাস মন ভুলে মনোরঞ্জন,
দাম দিয়ে যন্ত্রনা কিনতে চায়,
তখন নীলাঞ্জনা প্রেমিকের কল্পনা,
ও মনের গভীরতা জানতে চায় ।

যখন খোলা চুলে হয়তো মনের ভুলে,
তাকাতো সে অবহেলে দু'চোখ মেলে,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা।।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার (............) ।।

অংকের খাতা ভরা থাকতো আঁকায়,
তার ছবি তার নাম পাতায় পাতায়,
হাজার অনুষ্ঠান প্রভাত ফেরীর গান
মন দিন গুনে এই দিনে আশায় ।

রাত জেগে নাটকের মহড়ায় চঞ্চল
মন শুধু সে ক্ষনের প্রতিক্ষায়
রাত্রির আঙ্গিনায় যদি খোলা জানালায়
একবার একবার যদি সে দাঁড়ায়

বোঝেনি অবুঝ মন নীলাঞ্জনা তখন,
নিজেতে ছিলো মগণ এ প্রানপণ,
হাজার কবিতা বেকার সবই তা ।।
তার কথা কেউ বলে না,
সে প্রথম প্রেম আমার (.................)।।