মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।


তোমার বাড়ির রাস্তাটার মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির ফুল গাছটার মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির গেটের আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির জানালার মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা তোমার বাবার ধনের লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার বাড়ির ছাদের আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির বারান্দার মায়ায় পড়েছি
তোমার পড়ার টেবিলের মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির ময়না পাখির মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা তোমার বাবার ধনের লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার বাঁকা ঠোঁটের হাসির মায়ায় পড়েছি
তোমার কাজল কালো চোখের মায়ায় পড়েছি
তোমার চুলের গন্ধের আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার সুন্দর নাকের আমি মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা তোমার কায়ার মায়্যার লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার হেলে-দুলে চলার মায়ায় পড়েছি
তোমার চোখের চাহনির মায়ায় পড়েছি
তোমার এলো কেশের আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার মুখের মিষ্টি কথার মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা তোমার কায়ার মায়্যার লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার লাল দোপাট্টার মায়ায় পড়েছি
তোমার ঐ কপোলের টিপের মায়ায় পড়েছি
তোমার পায়ের নূপুরের মায়ায় পড়েছি
তোমার নাকের নোলকের মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা শুধু অলংকারের লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার আলতা রাঙা পায়ের মায়ায় পড়েছি
তোমার কানের ঝুমকো দুলের মায়ায় পড়েছি
তোমার হাতের চুড়ির আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার গলার মালার মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা শুধু অলংকারের লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।
তোমার বাড়ির রাস্তাটার মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির ফুল গাছটার মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির গেটের আমি মায়ায় পড়েছি
তোমার বাড়ির জানালার মায়ায় পড়েছি
এই ভেবোনা তোমার বাবার ধনের লোভে পড়েছি
হায় হায় হায় হায়রে হায় তোমায় ভালবেসেছি।

তোমার ইচ্ছে গুলো


তোমার ইচ্ছে গুলো , তোমার ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হলে আমায় দিতে পারো ,
আমার ভালো লাগা , ভালোবাসা , তোমায় দেবো আরো ।
 তুমি হাতটা শুধু ধরো , আমি হবো না আর কারো ,

 তোমার স্বপ্ন গুলো আমার চোখে হচ্ছে জড়সড় ।
তোমার ইচ্ছে গুলো , ইচ্ছে গুলো তোমার ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হলে আমায় দিতে পারো ,
আমার ভালো লাগা , ভালোবাসা , তোমায় দেবো আরো ।
তোমার আবেগ মাখা খামখেয়ালী আঁটছে আমার পিছু ,
আমার আসা যাওয়ার পথের বাঁকে পাইনি অন্য কিছু ।
হাতটা শুধু ধরো , আমি হবো না আর কারো ,
তুমি হাতটা শুধু ধরো , আমি হবো না আর কারো ।
 তোমার স্বপ্ন গুলো আমার চোখে হচ্ছে জড়সড় ।
তোমার ইচ্ছে গুলো , ইচ্ছে গুলো তোমার ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হলে আমায় দিতে পারো ,
আমার ভালো লাগা , ভালোবাসা , তোমায় দেবো আরো ।
আমার হৃদয় যেন বানভাসি হয় তোমার স্রোতের টাণে
আমি তোমার কাছে যাবোই যাবো একলা থাকার দিনে ।
তুমি হাতটা শুধু ধরো , আমি হবো না আর কারো , তুমি হাতটা শুধু ধরো ,
আমি হবো না আর কারো । তোমার স্বপ্ন গুলো আমার চোখে হচ্ছে জড়সড় ।
তোমার ইচ্ছে গুলো , ইচ্ছে গুলো তোমার ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হলে আমায় দিতে পারো ,
আমার ভালো লাগা , ভালোবাসা , তোমায় দেবো আরো ।

ইচ্ছে গুলো ইচ্ছে হলে আমায় দিতে পারো 

শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

আমাদের বন্ধুত্বের গল্প...





দেখতে দেখতে কতো বছর পেরিয়ে গেল কেমন আছে আমার পাগলীটা কে জানে একবার ফেসবুকে গিয়ে কি দেখবো? পাগলি কি এখনো ফেসবুক ব্যবহার করে ধুর এতো না ভেবে লগইন টা করেই ফেলি.....
> কি রে পাগলী কেমন আছিস?, বেঁচে আছি কি না মরে গেছি একবার খবরও নিলি না
> ভালো আছিরে পাগল, তুইও তো কোনো খোজ নিলিনা আমার আজ হঠাৎ এতো বছর পর কি মনে করে? তুই কেমন আছিস?
> আছি রে না থাকার মতো... তুই কি সত্যিই ভালো আছিস?... তোর কি আগের মতোই জ্বর আছে এখনো?
> পুরানো রোগ লেগেই আছে রে, ক্যানো কি হয়েছে তোর?
> কিছু হয়নি রে, এমনিই বললাম দেখতে দেখতে কত বছর পার হয়ে গেল তাই না রে
> হ্যাঁ রে .... কি করছিস তুই?
> তেমন কিছু না রে, তুই?
> তুই এখনও আগের মতোই আছিস রে, সেই পুরানো কথা! “তেমন কিছু না”, তেমন টা কি বলতো শুনি একটু
> আরে শুয়ে আছি তুই?
> আমিও ঔষুধ খেয়ে শুয়ে আছি তো এতো বছর পর মনে পড়লো আমার কথা?
> তোর কথা সব সময়ই মনে পড়ে রে কিন্তু কথা বলা হয় না আজ বুকের বাম পাশটা একটু বেশি ব্যথা করছে তাই তোর সাথে কথা বলছি ব্যথাটা কোমানোর জন্য.. হা হা হা..
> তুই এখনো আমাকে মনে রেখেছিস?
> হ্যাঁ রে, তোকে ভুলতে পারিনি জানিস এখনো মনে হয় তুই আমার পাশেই আছিস
> তুই অসলেই একটা পাগল ছিলি আর এখনো আছিস তা তোর বউ, ছেলে-মেয়ের ওদের কি খবর?
> হা হা হা.... বউ, ছেলে-মেয়ে ... আমি এখনো বিয়ে করিনি রে
> ক্যানো রে, তোর পাগলির জন্য তুই বিয়ে করিস নি?
> বাদ দে তো ও সব কথা, তোর ছেলে-মেয়ের কি খরব?
> ওরা আছে ওদের মতো করে ভালো বিয়ে দিয়ে দিয়েছি আমার দ্বায়িত্ব শেষ
> তোর সময় কাটে কিভাবে রে? কি করিস সারা দিন
> বই পড়ি, নামাজ পড়ি, মাঝে মাঝে পুরনো স্মৃতি মনে করে একা একাই হাসি এই ভাবেই কেটে যাচ্ছে দিন তোর ?
> আমারও তোর মতো করেই কেটে যাচ্ছে দিন গুলো তোর ছবি গুলো এখনো আমার কাছে আছে ওই গুলোই দেখি আর একা একাই তোর সাথে কথা বলি তুই কি এখনো আগের মতোই পাগলী আছিস? হা হা হা...
> হ্যাঁ রে, তোর পাগলী হয়েই আছি আগের মাতো পাগলের আত্মার আত্মা হয়ে বেঁচে আছি তুই এখন কোথায় আর কি করছিস
> গ্রামে একটা কুড়ে ঘর বানিয়েছি সেখানেই থাকি রে তুই কোথায় এখন?
> আমিও গ্রামে রে
> গ্রামে আছিস মানুষের গাছের ফল চুরি করিস না তো আগের মতো ..... হা হা হা...
> না রে, এখন আমার গাছের ফলই মানুষ খায়
> তুই কি এখনো ঠোঁট-এ লিপস্টিক দিস সেই আগের মতো?
> হ্যাঁ রে এখনো দেই তুই তো জানিসই সখ বলতে আমার ঐ একটা জিনিসই লিপস্টিক
> তুই কি এখনো আগের মতো ঠোঁটে লিপস্টিক দিয়ে ছবি তুলিস?
> এখন আর ছবি তুলি না যেদিন থেকে তুই আর কথা বলিস না সেদিন থেকে পাগলীটার আর ছবিও তোলা হয় না
> তুই আমার উপর রাগ করে আছিস তাই না রে
> তোর উপর রাগ করবো ক্যানো বল, তুই তো আমার জানের জিগার দোস্ত ছিলি
> দোস্ত ছিলাম, এখন নাই রে?
> এখনো আছিস রে পাগল, পরের থাকবি
> কতো বছর তোর সাথে কথা হয়নি আজ নিজেকে আবার ফিরে পেলাম রে তুই তো আর ফোন দিতি না কথা বলার জন্য SMS ও দিয়ে বলতি না ফেসবুকে আসার জন্য
> ভেবেছিলাম তুই ব্যস্ত আছিস পরে হয়তো SMS দিয়ে বলবি, পাগলী ফেসবুকে আয় কথা বলি কিন্তু তুই আর SMS করিস নি আর কথাও বলা হয়নি
> দুজনের ছোট্ট ভুল বোঝা-বুঝির জন্য কতো বছর কথা বলা হলো না
> হ্যাঁ রে, কতো বছর হবে আর ১০ বছর হবে
> আমি আশায় ছিলাম তোর একটা ফোন আসবে সেই আগের মতোই কিন্তু .......
> আমিও আশা নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম রে কিন্তু বুঝতে পারিনি এতো বছর পর তুই কথা বলবি
> আমার দিন কাটতো তোর ছবিগুলো দেখে কিন্তু তোর সময় কাটতো ক্যামনে?
> ছেলে-মেয়েকে সময় দিয়ে তারপরও তোর জন্য ফেসবুকে আসতাম কিন্তু তোকে না পেয়ে বেশিক্ষন থাকতাম না
> আমাকে ফেসবুকে না পেয়ে একটা ফোনও তো দিতে পারতি সেই আগের মতো
> না রে, ভাবলাম তুই হয়তো বিয়ে করে আমাকে ভুলে গেছিস তোর উপর একটু অভিমানও ছিল
> ক্যানো অভিমান করে ছিলি রে? আজ এতো বছর পর তোর কাছে যদি একটা কথা জানতে চাই কিছু মনে করবি না তো?
> আজ এতো বছর পর কি জানতে চাচ্ছিস বল
> সেই সময় যদি আমি তোকে বলতাম, “পাগলী রে আমি তোকে অনেক ভালবাসিতুই কি আমাকে ভুল বুঝে দূরে চলে যেতি?
> এটা কথনো বলিস নি তো! আজ ক্যানো এতো বছর পর তোর মনে হচ্ছে এই কথা
> তখন অনেক ভয় পেতাম রে, যদি তুই ভুল বুঝে দূরে চলে যেতি তাই আর বলা হয় নি
> আর তাই এখনো একা একাই আছিস তাই না রে?
> তোর জন্য জমানো ভালবাসা কাউকে দিতে চাইনি তাই এখনো একা একাই আছি।
> একবার বলেই দেখতি, পাগলী তোকে কি বলে কথাটা শুনে।
> একবার বলেছিলামকিন্তু তুই বলেছিলি “এমন কথা বলে আমাদের বন্ধুত্বটা নষ্ট করে দিস না।”
> হ্যাঁ রে, বন্ধুত্বের জন্যই বলেছিলাম কিন্তু বন্ধু কি কারনে কথা বলা, যোগাযোগ করা বন্ধ করে দিয়েছিল তা আজও অজানাই থেকে গেছে।
> ভেবেছিলাম তোর বিয়ে হয়ে গেছে তাই তুই আর ফোন দিচ্ছি না। আর আমিও ‍SMS করিনি।
> তুই তো আমার সবই জানতিস তার পরও তোর মন এতো দূর্বলতা ছিল।
> এখন কি পারিস না তোর পাগলের কাছে ফিরে আসতে।
> তা আর সম্ভব না রে। ছেলে-মেয়ে বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। তারা কি ভাববে বল।
> তা ঠিক রে। যাই হোক যতো দিন বেঁচে আছি এভাবেই পাশে থাকিস।
> পাগলী পাগলের পাশে আগেও ছিল, এখনো আছে এবং পরেও থাকবে। দেখছিস না পাগলি তোর SMS টা পেয়ে আর অভিমানটা ধরে রাখতে পারেনি। জানিস ছেলে এখনো তোর কথা বলে মাঝে মাঝে। তখন মনে হয় তুই আমার সাথে আগের মতোই কথা বলিস।
> ও এখনো আমাকে মনে রেখেছে। অনেক ভালো লাগলোরে শুনে।
> হ্যা রে, ছেলে তো তোর নাম দিয়েছিলো “কার্টুন” হা হা হা....
> হা হা হা .... আমি তো তাই রে,... অভিমান করেছিলি ক্যানো তা তো বললি না।
> তোর অনেক স্মৃতির মধ্যে অভিমানের করনটাও না হয় আমার কাছেই থাক। তুই কি এখনো আগের মতোই পাগলামী করিস?
> না রে, বয়সতো আর কম হয়নি। এখন কি আর পাগলামি করা মানায়!!
> হুম...... দেখ তোর সাথে কথা বলতে বলতে কতো রাত হয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি। অনেক ঘুম পাচ্ছে রে। তুইও ঘুমা। কাল সকালে তোকে ফোন করবো সেই আগের মতো..... শুভ রাত্রি পাগল।
> শুভ রাত্রি পাগলি.....                                                                                                                                                                                                                                                     
(দুটি দেহে একটি আত্মার অবস্থানই হলো বন্ধুত্ব)

শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৭

মেয়েদের শ্বশুর বাড়ি


তুলি স্কুল মাষ্টারের মেয়ে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে হওয়ায় তার তেমন কোন সখ-আল্লাদ পুরন হয়নি। তার স্বপ্ন বিয়ের পর শশুর বাড়ি গিয়ে নিজের মতো গুছিয়ে সংসার করবে। আজ তার বিয়ে। মনে মনে সে কতো কথাই চিন্তা করছে। কি কি করবে, কিভাবে মিলে-মিশে থাকবে নতুন নতুন মানুষদের সাথে। তার স্বামী কেমন হবে! সে কি শান্ত প্রকৃতির হবে!.. তাকে কি অনেক ভালবাসবে!  নাকি অনেক রাগি হবে। ...... তার ভাবনার অবসান ঘটলো যখন কাজী সাহেব এসে দাড়ালেন তার পাশে।
গ্রামের বিয়েতে তেমন কোন অনুষ্ঠান হয়না। তার উপর মধ্যবিত্ত পরিবার।
বিয়ের প্রথম পর্ব শেষ করে বিদায় নিয়ে সে পা রাখলো শশুর বাড়ি। ................................
কাগজের ফুল দিয়ে সাজানো ঘরে খাটের ঠিক মাঝখানে ১ হাত ঘোমটা দিয়ে বসে আছে তুলি।
আতিক এসে ঘরের মধ্যে। (আতিক হচ্ছে তুলির স্বামী)
দরজা বন্ধ করে দিয়ে খাটের  পাশে গিয়ে দাড়ালো। তুলি খাট থেকে নেমে আতিক কে সালাম করলো।
তুলি আবার গিয়ে খাটে বসে পরলো। আতিক অনেক শান্ত ছেলে। সে তুলিকে বলল, তুমি কি আমার পরিবার কে তোমার নিজের পরিবার মনে করে চলতে পারবে। আমার মা কে নিজের মা, আর বাবাকে নিজের বাবা ভাবতে পারবে। তুলি শুধু মাথা নেরে হ্যাঁ বলল,।।
সকালে কোন এক জনের রাগি কণ্ঠের শব্দে তুলির ঘুম ভাংলো।
এই যে নবাবের বেটি অহনো ঘুম ভাংগে নাই। নতুন বউ এতো ঘুম কিসের শুনি। বাড়িতে কি দশ-বারটা দাশী-বান্দি আছে,  তারা কাজ করে দিবে।
আতিক ঘর থেকে বেড় হয়ে এলো।
মা সকাল সকাল কি শুরু করছো। নতুন বউ কি মনে করবে কথা গুলো শুনলে।
শুনলে শুনবে কি হয়েছে। সারা জিবন সংসারের ঘানি টানলাম এখনো তাই করতে হবে। আমার পোরা কপাল।
কথা শেষ না হতেই তুলি ঘর থেকে বেড় হলো। তুলিকে দেখে তার শ্বাশুরি বলল, নবাবের বেটির ঘুম কি শেষ হয়েছে.. এবার গতরটা একটু খাটাও। গোয়ালে গরু গুলো না খেয়ে আছে। কখন থেকে গরু গুলো ডাকাডাকি করছে।
তুলি কোন কথা না বলে চলে গেলো গোয়াল ঘরের পাশে খড়ের পালার কাছে। এর আগে সে কখনো এমন কাজ করেনি। আনেক কষ্টে খড়ের পালা থেকে খড় নিয়ে গরুর চারিতে দিয়ে আসলো। তার দু'চোখ দিয়ে পানি পরছে।
পিছন থেকে কেউ একজন তাকে ডেকে বলল, বাপ-মায় কি কিছুই শিখায় নি। গরুর মুখে খড় দিলেই কি গরু খায়। পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হয় এই বুদ্ধি টুকুনও নাই।
পিছন ফিরে দেখলো তার শ্বাশুরি কথা গুলো বলছে। তুলি কিছু বলতে পারছে না। শুধু দু'চোখ দিয়ে পানি ফেলছে। আর মনে মনে বলছে, মা আমি কি তোমাদের কাছে বোঝা হয়ে গিয়েছিলাম! তাই এমন বাড়িতে বিয়ে দিয়ে দিলে।
এই ভাবেই কাটছিল তার দিন। বিয়ের ২ দিন পর মেয়েকে নিতে আসে বাবার বাড়ির লোক জন এটাই নিয়ম। কিন্তু তুলির তা হলো না। তার শাশুরি বলে দিয়েছে তিনি যেদিন চাইবেন সেদিন তুলি বাপের বাড়ি যেতে পারবে।
তুলির শ্বশুরটা একদম সাদা-সিধে। বেশির ভাগ সময়ই জমিতে কাজ করেন। মাঝে মাঝে তুলির সাথে কথা হয়।
দেখো মা তোমার শাশুরির কথায় কষ্ট পেয়েও না। মানুষটা এমনই। তার জন্মের সময় তার মায়ে তার মুখে মধু দেয় নাই হয়তো তাই এমন হয়েছে সে। তেমার যদি কিছু দরকার হয় আমাকে নিজের বাবা মনে করে বলবে। আমার ছেলে তো ঢাকা গিয়ে ভালই আছে। এদিকে তার বউ কেমন আছে একটা খোজও নিচ্ছে না। একটা চিঠি দিতে কি অনেক কষ্ট হয়।
বাবা আপনি ভুল ভাবছেন। তিনি হয়তো কাজের চাপে সময় করে উঠতে পারছেন না। তাই চিঠি দিচ্ছেন না।
তাও হতে পারে।
তার শশুরের কথা শেষ না হতেই....
কাজ কাম ছিকেয় তুলে সারা দিন বসে বসে গল্প করলেই হবে?.. বাপের বাড়ি থেকে কি দাসি-বান্দি নিয়ে আইছো তারা করে দিবে?..
কথা গুলো শুনে তুলির শশুর জমির দিকে যেতে শুরু করলেন।
এই যে আপনি আবার কই যান। দুইটা ভাত গিলে আমাকে উদ্ধার করে সেখানে খুশি চলে যান। আমার হয়েছে যতো জালা। এতো দিন ওনাকে নিয়েই আমার হাড়-মাংশ কালা হয়ে গেল। তার উপর জুটেছে কাম চোরা বউ।
তুলির শাশুরির কথা শেষ হওয়ার আগেই তার শশুর বাড়ির বাইরে চলে গেছেন।

অনেক দিন হয়ে গেল মেয়েটার কোন খবর নেওয়া হয়নি। কেমন আছে আমার মেয়েটা। আপনি একবার দোখে আসেন না মেয়েটাকে। তুলির মা তুলির বাবাকে বলল।
তুলির বাবা বলল, আমিও ভাবছি কাল একবার যাবো তুলিকে দেখতে অনেক দিন হলো মেয়েটাকে দেখি না।
পরের দিন সকালে তুলির বাবা মেয়েকে দেখতে রওনা হলেন।
দুপরের দিকে তুলি বাড়ির উঠানে কাজ করছিল। এমন সময়..
মা তুলি কেমন আছিস।
পিছন ঘুরে তাকিয়ে দেখলো তার বাবা দই-মিষ্টি হাতে দাড়িয়ে আছে।
আব্বা আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন? মা কেমন আছে। আসতে কোন কষ্ট হয়নি তো। ঘরে চলেন।
তুলি কে দেখে তার বাবার মুখ শুকিয়ে গেল। মেয়েকে যেন চিনতেই পারছেন না তিনি। অনেক শুকিয়ে গেছে। চোখের নিচে কালো হয়ে গেছে।
কে এসেছে? কার সাথে গল্প শুরু করেছো কাম বাদ দিয়ে।
মেয়ের শাশুরিকে দেখে তুলির বাবা বললেন, বেয়ান কেমন আছেন। বেয়াই কই দেখতে পাচ্ছি না তো।
তা ভালোই আছি। ঘরে গিয়ে বসেন। কতো দুর থেকে এসেছেন।
বিকালের দিকে আতিক ঢাকা থেকে বাড়ি আসে। এসেই শশুরের সাথে দেখা।
কেমন আছেন আব্বা, বাড়ির সবাই ভালো তো। মা কেমন অাছেন।
তুলির বাবা কথা গুলোর উত্তর দেওয়ার আগেই রান্না ঘর থেকে তার মা বলে উঠলো, ছেলেকে এতো
কষ্ট করে পড়ালেখা করাইলাম আজ সেই ছেলে বউয়ের মা বাপ কেমন আছে আগে জানতে চায় নিজের মার কথা তো মনেই পরে না।
কথা গুলো শুনে আতিক লজ্জায় আর তার শশুরের সামনে থাকতে পারলো না। মাথাটা নিচু করে ঘরের মধ্যে চলে গেল।
রাতে আতিক, আতিকের বাবা, আতিকের শশুর এক সাথে খেতে বসেছে। তুলি তাদের খাবার বেড়ে দিচ্ছে।
আব্বা আরেকটু তরকারি নেন।
না মা আমার খাওয়া শেষ রে।
কি খেলেন বেয়াই আরেকটু ভাত নেন। আতিকের বাবা বলল।
তুলির বাবা বলল, না বেয়াই অনেক খেয়েছি আর পারবো না।
এমন সময় আতিকর মা এসে তুলির বাবার প্লেট-এ অনেক গুলো ভাত দিয়ে বাটিতে রাখা সব তরকারি তার প্লেটে ঢেলে দিতে দিতে বলল, খান খান এই প্রথম মেয়ের বাড়ি আসলে তাও আবার খালি হাতে তাই বলে কি আমরা না খাইয়ে বিদায় দিবো।
তুলি কান্না করতে করতে ঘরে চলে গেল। পরিবেশটা একদম শান্ত হয়ে গেল। আতিক না খেয়ে উঠে পরলো। তুলির বাবা কি করবেন বুঝতে পারছেন না। তার চোখে পানি চলে এসেছে। মনে মনে ভাবছেন "আমার মেয়েকে কোথায় বিয়ে দিলাম"
আতিক ঘড়ে গিয়ে তুলিকে বলল, তোমার কাপড় গুছিয়ে নাও। সকালে তুমি তোমার বাবার সাথে চলে যাবে। এখানে তোমাকে আর থাকতে হবে না। আমি ঢাকা গিয়ে নতুন বাসা নিয়ে তোমাকে নিয়ে যাবো।
তুলি কান্না করতে করতে কাপড় গোছাতে শুরু করলো।
আতিক তার মা কে গিয়ে বলল, তুমি যা শুরু করেছ তা আর সহ্য করতে পারলাম না। তাই তুলিকে ওর বাবা সাথে পাঠিয়ে দিবো কাল। এইটা বলেই সে তার মায়ের ঘর থেকে বের হয়ে আসলো।
পরের দিন সকালে....
কই নবাবের বেটি। বাপের বাড়ি যাবে না সে। এখনো ঘুম ভাংগে না।
তুলি দরজা খুলে দেখলো তার শ্বাশুরি একটা নতুন শাড়ি আর কিছু গহনা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তুলিকে বলল, এই প্রথম বাপের বাড়ি যাচ্ছ এই গুলো পরে যাও। শাড়িটা কিছু দিন আগে তোমার শশুরকে দিয়ে তোমার জন্য কিনে আনিয়েছি। আর গয়না গুলো আমার শাশুরি আমাকে দিয়েছিলেন। আমি জানি তুমি আমার উপর রেগে আছো। কি করবো বলো, আমি যখন এই বাড়িতে বউ হয়ে আসি তখন আমার বয়স ছিল ৮ বছর। শাশুরির কথা শুনতে শুনতে আমিও এমন হয়ে গেছি। অনেক দিন না খাইয়ে রেখেছে। সারা দিন গাধার মতো কাজ করতে হতো। তারপরও কথা শুনতে হতো। আমি তো তোমার সাথে এমন ব্যবহার করতে চাই না। তুলির শাশুরি কান্না করতে লাগল। তুলির চোখেও পানি।
আম্মা আমি আপনাকে ভুল বুঝে ছিলাম। আমাকে মাপ করে দিন। এই বলে তুলি তার শাশুরিকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে শুরু করলোা
আরে পগলি মেয়ে কানছো কেনো। যাও তৈরি হয়ে নাও বেলা তো আর কম হলো না। কথাটা শেষ করে তুলির শাশুরি চোখ মুছতে মুছতে ঘর থেকে বেড় হলেন।
তুলি আর তুলির বাবা যখন রওনা হলো তখন আতিকের মা - বাবা দুজনেই তাদের বিদায় দিতে উঠানে দাড়িয়ে আছে। তুলি তাদের সালাম করলে রওনা দিবে এমন সময়, "এই যে নবাবের বেটি বেশি দিন না থেকে তারাতারি চলে এসো" অাজ কথাটাতে কোন রাগ নাই আছে শুধু ভালাবাসা আর স্নেহ। হাসি মুখে তারা বিদায় নিল।

বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭

সেই মেয়েটি আমাকে ভালবাসে কিনা আমি জানি না....


সেই মেয়েটি আমাকে ভালবাসে
কিনা আমি জানি না
যার মেঘ কালো চুল হো… ও… ও…
হরিনী চোখ হো… ও… ও…
কন্ঠটি গানের বিনাস ও… হো… হ…।।
তার হাসি যেন শিশিরের কনা
তার দৃষ্টি যেন মায়াবী ছলনা।
তাকে না দেখেও মনে হয়
সে আমার অনেক দিনের চেনা
হো… ও… ও…।।
তার চরণ যেন নূপুরের দোলা
তার হৃদয় যেন বাতায়ন খোলা।
তাকে না পেয়েও মনে হয়
সে আমার ভালয়াসা দিয়ে কেনা
হো… ও… ও…।।

বুধবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৭

মেঠো ইঁদুর ও শহুরে ইঁদুর

একবার এক গণ্যমান্য শহুরে ইঁদুর এল এক সাধারণ মেঠো ইঁদুরের কাছে। মেঠো ইঁদুর বাস করত এক মাঠে। সে তার অতিথিকে খেতে দিল যা তার ছিল-- মটর ও গমের দানা।
গণ্যমান্য ইঁদুর একটু খুঁটে খেয়ে বলল, “তোমার খাবার এতই অপুষ্টিকর বলেই তুমি এমন রোগা। এসো, আমার কাছে, দেখো কীভাবে আমরা থাকি।”
তখন মেঠো ইঁদুর চলল শহুরে ইঁদুরের কাছে। রাতের জন্য তারা মেঝের নিচে অপেক্ষা করল। লোকেরা এসে খেয়ে চলে গেল। তখন শহুরে ইঁদুর তার অতিথিকে খাবার ঘরে নিয়ে চলল এক গর্ত দিয়ে। তারা দুজনেই চড়ে বসল টেবিলের উপর। সাধারণ মেঠো ইঁদুর জীবনে কখনও এমন ভালো খাবার চোখেও দেখেনি।
সে বলল, “তুমি ঠিক বলেছ, আমাদের জীবন খুবই খারাপ। আমিও শহরে বাস করতে চলে আসব।”
একথা বলতে না বলতেই টেবিল কেঁপে উঠল। আর দরজা দিয়ে মোমবাতি হাতে নিয়ে ইঁদুর ধরতে লোক ঢুকল ঘরে। তারা কোনোক্রমে গর্তে ঢুকে নিজেদের বাঁচাতে পেরেছিল।
“না!” বলল মেঠো ইঁদুর, “এর চেয়ে আমার মাঠে বাস ঢের ভালো। সেখানে এমন মিষ্টি খাবার নেই ঠিকই, তবে এমন ভয়ের কোনো কারণও নেই।”

অপরিচিত হয়েও অনেক পরিচিত



"এই পৃথিবীতে  কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের কখনো অপরিচিত মনে হয় না"

সত্য & মিথ্যা


যারা মিথ্যে বলেনা তারা খুবই বিপজ্জনক। তারা যখন একটা দুটো মিথ্যা বলে তখন সেইটাকে সত্যি বলে ধরে নেয়া হয়। এক হাজার ভেড়ার পালে একটা নেকড়ে ঢুকে পড়ার মত। এক হাজার সত্যির মধ্যে একটা মিথ্যা।

ডিসস্যাটিসফেকশন


মানুষের সব শখ মেটা উচিত নয়। একটা কোনো ডিসস্যাটিসফেকশন থাকা দরকার।
তাহলে বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে। সব শখ মিটে গেলে বেঁচে থাকার প্রেরণা নষ্টহয়ে যায়।
যে সব মানুষের শখমিটে গেছে,তারা খুব অসুখী মানুষ।

ভালবাসা


কাউকে ভালোবাসলে বেশি কাছে যাবার চেষ্টা করতে নাই। তাতে করে কাছে যাবার  আকুতি দেখে সে হয়তো দূরে চলে যেতে পারে। কেননা, মানুষ সোজা পথের চেয়ে বাকা পথে হাটতে আনন্দ পায় বেশি। কিন্তু সব কিছু হারিয়ে সোজা পথেই আসতে হয়। সেই সময়ে নতুন করে ভালোবাসার ইচ্ছা টা আর থাকে না।